যেসব কারণে কমে – সকলকেই একটি চলে যেতে হবে এই মায়ার পৃথিবী ছেড়ে। কারণ মানুষ মরণশীল। তবে দ্রুত মরে যাওয়া কারোরই কাম্য নয়। অল্পকিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে মানুষ যেমন দীর্ঘজীবন লাভ করতে পারে, তেমনি আবার এর ব্যত্যয় ঘটলে ঘটতে পারে উল্টোটাও। দেখে নিন ঠিক কী কারণে মানুষের আয়ু কমে যায়।
আয়ু কমে যাওয়ার প্রথম ও অন্যতম কারণ হচ্ছে, অতিরিক্ত টিভি দেখা। ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দৈনিক গড়ে এক ঘণ্টা টিভি দেখা জীবন থেকে ২২ মিনিট আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। এ হিসেবে কেউ যদি দৈনিক ছয় ঘণ্টা টিভি দেখেন, তাহলে তাঁর জীবন থেকে ঝরে যাবে পাঁচ পাঁচটি বছর।
আয়ু কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, একা থাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য থেকে একটু দূরে একা একা জীবন-যাপন করছেন, তাঁরা খুব দ্রুতই মৃত্যুমুখে পতিত হবেন। একা থাকার ক্ষতি সম্পর্কে আমেরিকার মনোবিজ্ঞানী জুলিয়ান হোল্ট-লুনস্টাড বলেন, দিনে ১৫টি সিগারেট খেলে স্বাস্থ্যের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, কোনো রকম সামাজিক যোগাযোগ ছাড়া একা একা বসবাস করলে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী যারা দৈনিক গড়ে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বসে থাকেন, পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে তাদের মৃত্যুর হার কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। কাজেই যারা বেশি বেশি বসে থাকেন তাঁরা সাবধান।
একজন বেকার মানুষ অন্য সবার চেয়ে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকেন। আর এর ফলে একজন বেকারের অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা ৬৩ শতাংশ বেড়ে যায়। এই তথ্য জানাচ্ছেন কানাডার গবেষকগণ। ১৫টি দেশের প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষের ৪০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্যই উদ্ধার করেছেন তাঁরা।
সুস্থ জীবনের জন্য ঘুম প্রয়োজন। তবে সেই ঘুম হতে হবে পর্যাপ্ত। বেশি ঘুম কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, একদিনে আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে সর্বোচ্চ সাত ঘণ্টা ঘুমানোর। তাহলেই পাওয়া যাবে সুস্থ ও দীর্ঘজীবন।